• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০১৯, ১২:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৩০, ২০১৯, ১২:৩৫ পিএম

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ
আদালতে খালেদা জিয়া- ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে যে আপিল করেছেন, তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদেশে নিম্ন আদালতের দেয়া অর্থদণ্ডও স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত। এছাড়া নিম্ন আদালত থেকে এই মামলার নথি তলব করেছেন আদালত। দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে মামলার নথি দাখিল করতে হবে। মামলার নথি আসার পর খালেদা জিয়া জামিনের বিষয়টি দেখা হবে বলেও মন্তব্য করেছে আদালত।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও  মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

আদালত থেকে বের হবার পরে গণমাধ্যমকে জয়নুল আবেদীন বলেন, সংশ্লিষ্ট কোর্টেই এই মামলায় খালেদা জিয়ার পৃথক জামিন আবেদন করা হবে।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর নিম্ন আদালতের সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদনটি জমা দেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল। আবেদনটিতে মূল আপিলসহ সাত শতাধিক পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে বলে জানান খুরশিদ আলম খান।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া, ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর তিন আসামিকেও একই দণ্ড দেন আদালত।

এই মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। বাকি দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত ওই তিনজনকেও অভিন্ন সাজা দিয়েছেন।

এছাড়া, মামলার পলাতক আসামি হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি আদালতে উপস্থিত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে যে ৪২ কাঠা জমির ক্রয় নিয়ে মামলার সূচনা, সেই জমিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

গত বছরের ১৪ নভেম্বর এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। পরে গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এ মামলায় সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

এমএ/বিএস