• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২, ২০১৯, ০৬:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩, ২০১৯, ১২:১১ এএম

বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে নেয়া পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে নেয়া পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট


বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ রোধে আদালতের রায় অনুসারে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) এই আদেশ দেয়।
 
এ সংক্রান্ত রিটকারী পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয় আদালত।  
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।
 
আদালতের আদেশের পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, জনস্বার্থে করা এক রিট মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ রোধে ২০১১ সালে আদালত অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিল। বুড়িগঙ্গার ভেতরে যে সমস্ত সুয়ারেজ লাইন আছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইন আছে সেগুলো ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশের পাশাপাশি বুড়িগঙ্গার তীরে যাতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে সে জন্যে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করার জন্য বলা হয়েছিল রায়ে।  
 
কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এই নির্দেশনাগুলো পুরোপুরি পালন না করায় এ সম্পূরক আবেদন করা হয়েছিলো। শুনানি শেষে আদালত রায়ে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, তা প্রতিপালনে সংশ্লিষ্টরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে ব্যপারে দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত,’ বলেন তিনি। 
 
দুই সপ্তাহের মধ্যে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিআইডব্লিটিএ-এর চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ-এর পরিচালক (পোর্ট অ্যান্ড ট্রাফিক), ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, লালবাগ, ডেমরা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ প্রতিবেদন দিতে হবে।  
 
বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ওই রিট করা হয়েছিলো। সে রিটের শুনানি শেষে তিন দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০১১ সালের ১ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এমএ/আরআই