• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৮, ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৮, ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম

বিআরটিএর সকল সনদ ও লাইসেন্স জাল করাই ছিল তাদের কাজ

বিআরটিএর সকল সনদ ও লাইসেন্স জাল করাই ছিল তাদের কাজ

তাদের কাজই ছিল আসল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী গ্রাহকদেরও জাল কাগজপত্র সরবরাহ করা। বিআরটিএর গাড়ি সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার কাগজ তারা জাল করতে সিদ্ধহস্ত।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে এমন জালিয়াত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- আবদুল খালেক (৬৭), আনোয়ারুল হক শিমুল (৪২), আবদুল জলিল (৬৪), আবদুর রহিম (৩১) ও মোতালেব হোসেন (৫৮)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে মোটরযানের জাল রুট পারমিট ফরম, রুট পারমিট, রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র, ফিটনেস সনদপত্র, ট্যাক্স টোকেন ফরম, বিমা ফরম, বিমা স্ট্যাম্প স্টিকার, ডকুমেন্ট প্রাপ্তি রশিদ, রেজিস্ট্রেশন আবেদন ফরম, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অফিসের ১৫০টি সিল এবং গাড়ির ডিজিটাল নম্বর প্লেট জব্দ করা হয়। এছাড়া কাগজপত্র জাল করার কাজে ব্যবহৃত ১টি ১৭ ইঞ্চি কালার মনিটর, ১টি সিপিইউ, ১৬০ জিবি হার্ডডিস্ক এবং ১টি প্রিন্টার জব্দ করা হয়।

চক্রটি দীর্ঘ এক যুগ ধরে টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর রুট পারমিট, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেনসহ মোটরযানের অন্যান্য প্রয়োজনীয় নকল কাগজপত্র প্রস্তুত করে আসছিল। চক্রটি গাড়ি ও চালকের ধরন বা চাহিদা ভেদে বিভিন্ন অংকের অর্থের বিনিময়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের ন্যায় সব ধরনের জাল সার্টিফিকেট প্রস্তুত করে দিত। আর এর মূল গ্রাহক ছিলেন অদক্ষ ড্রাইভার এবং চোরাই বা ত্রুটিযুক্ত গাড়ির মালিকরা। তারাই স্বল্প খরচে এই চক্রের মাধ্যমে জাল কাগজপত্র সংগ্রহ করতেন।

বুধবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, প্রতারক চক্রটি দালাল হিসেবে বিভিন্ন সময় আসল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী গ্রাহকদেরও জাল কাগজপত্র সরবরাহ করে প্রতারণা করত। তারা ক্ষেত্র বিশেষে গাড়ি-প্রতি সকল কাগজপত্র প্রস্তুতের জন্য ৫-৬ হাজার টাকা আদায় করত। এ ক্ষেত্রে সরকার বিপুল রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হতো।

আবদুল বাতেন আরও বলেন, সম্প্রতি জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুতকারী মোস্তফা কামাল জয় ও তার সহযোগী শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাফরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনা কাফরুল থানায় একটি মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এইচএম/এসএমএম