• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৯, ২০১৯, ১২:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৯, ২০১৯, ০৬:০৬ পিএম

যাবজ্জীবন মানে কতো দিন : রিভিউ শুনানি ১৬ মে

যাবজ্জীবন মানে কতো দিন : রিভিউ শুনানি ১৬ মে

আপিল বিভাগ থেকে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড’ বলে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানির জন্য আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। এই বিষয়ে অ্যামিকাস কিউরিদের (আদালত বন্ধু) বক্তব্য শোনা হবে ওই দিন। ধার্য ওই দিনে পাঁচ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক  অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, আবদুর রেজাক খান, মুনসুরুল হক চৌধুরী ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন তাদের মতামত তুলে ধরবেন।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে)এ সংক্রান্ত মামলায়  রিভিউ শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতকে জানান, বর্তমানে সারা দেশের কারাগারে ৫ হাজার ৫৩৭ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। এ সংক্রান্ত রায় নিষ্পত্তি না হওয়ায় তারা ও তাদের পরিবার বুঝতে পারছেন না কত দিন কারাগারে কাটাতে হবে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত ১১ এপ্রিল ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড’ এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানিতে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ হবে কিনা সে বিষয়ে আইনি মতামত তুলে ধরতে চার সিনিয়র আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেন আদালত। 

চার আইনজীবী হলেন- রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, আবদুর রেজাক খান ও মুনসুরুল হক চৌধুরী। পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনকেও এই মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেয়া হয়।

২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর একটি হত্যা মামলায় দুই আসামি আতাউর মৃধা ওরফে আতাউর ও আনোয়ার হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। এসব আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের সে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল আবেদন জানান।

২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাসসহ সাত দফা অভিমত দেয়। এরপর আপিলের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়।

এমএ/বিএস