• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০৪:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০১৯, ০৪:০১ পিএম

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

দল বেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য দেয়ায় পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মোজাহিদুল ইসলাম ও মেডিক্যাল অফিসার রেজাউর রহমানের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বৃুধবার (২২ মে) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদেশে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আদালতের তলব আদেশে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ওই সিভিল সার্জন। আদালত ক্ষমা না করে চিকিৎসককে বলেন, ‘‘এভাবে যদি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেন তাহলে জাতির কাছে কী বার্তা যায়? এভাবে রিপোর্ট দেয়ার কারণে একটা মামলার বিচার প্রভাবিত হয়, এমনকি রায় ভিন্ন হয়। যেখানে বাদী ন্যায়-বিচার থেকে বঞ্চিত হয়।’’

পরে আদালত ক্ষমার আবেদন নাকচ করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।

১৩ বছর বয়সি সীমা ছিল রাঙ্গাবালী হামিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গত বছরের ২৪ অক্টোবর নিজ বাড়িতে সীমাকে দল বেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ঘটনার তিন মাস পর গত ৩ জানুয়ারি পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি অভিযোগ করা হয়।

সীমার মা তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। প্রথমে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এ মামলার আসামি দানেশ চৌকিদার হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই জামিন আবেদনে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আসামি পক্ষ। সেখানে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রেজাউর রহমান প্রতিবেদনে লেখেন ‘‘গলায় দাগ রয়েছে, শ্বাসরোধে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা দুর্ঘটনাজনিত কারণে হতে পারে।’’ আর এই রিপোর্টের সঙ্গে একমত পোষণ করেন সিভিল সার্জন।

আদালত বলেন, যেখানে মেয়েটির মা ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে মামলা করেছেন, সেখানে চিকিৎসক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কীভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য করেন? 

আদালতে  রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/এসএমএম