• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০২:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০১৯, ০২:০৩ পিএম

নোমানের মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

নোমানের মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৬ জুন) এই আদেশ দেন।

মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে নোমানের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয় আদালত। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শাহজাহান, দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

মানিক জানান, গত ১৯ জুন ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে ১৬১ ধারার জবানবন্দি চেয়ে ও চারজন সাক্ষীকে রি-কলের আবেদন করেন আবদুল্লাহ আল নোমান। তার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারার সাক্ষীদের জবানবন্দি পাননি বলে মামলায় সঠিকভাবে জেরার কার্যক্রম করতে পারেননি। ওই আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৩০ জুন রায়ের জন্য নির্ধারণ করেন বিচারিক আদালত।

সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন এবং মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত চান আবদুল্লাহ আল নোমান। হাইকোর্ট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে তার আবেদনকৃত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারার জবানবন্দি আদালতে জমা দিতে এবং ৪ জন সাক্ষীকে পুনরায় জেরার অনুমতি দেন। মামলার তারিখ অহেতুক সময় ক্ষেপণ না করে ৩ মাসের মধ্যে এ রায় দেয়ার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

১৯৯৭ সালের ৭ আগস্ট সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে আবদুল্লাহ আল নোমানকে নোটিশ দেয় বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো। নোটিশ পাওয়ার পর আইনানুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। এমনকি তিনি সময় বাড়ানোর আবেদনও করেননি। পরে ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট নোমানের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন ব্যুরোর কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহিদ।

মামলায় ২০০৯ সালে নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলে তা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন নোমান। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন।

এর বিরুদ্ধে নোমান আবেদন করলে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় লিভ টু আপিল করেন নোমান। সেটিও ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ৭ জন।


এমএ/একেএস