• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ১১:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ১১:১৬ এএম

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারের আপিলের রায় যেকোনো দিন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারের আপিলের রায় যেকোনো দিন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম


মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস চেয়ে করা আপিলের রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে। আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে আজ এই ঘোষণা দেয় সর্ব্বোচ্চ আদালত।  

আজ বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের (আর্গুমেন্ট) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে এটিএম আজহারের খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

গত ১ জুলাই প্রথম দিনের শুনানি শুরু করে সোম ও মঙ্গলবার দু’দিন মিলে পর পর মোট তিনদিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করেন তিনি। এরপর আজ বুধবার এটিএম আজহারুল ইসলামের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিরতর্কের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়। আসামি পক্ষের সর্বশেষ যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখলেন।

গত ১৮ জুন আজহারের আপিলের শুনানি শুরু হয়। ২৬ জুন আপিল বিভাগ পেপারবুক পড়া শেষে ১ জুলাই যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক পড়েন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে এক হাজার ২৫৬ জনকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘর লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে ৫টি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।

ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন তিনি।

এমএ/আরআই 


 

আরও পড়ুন