• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৪:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৪:২৩ পিএম

শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ

স্কুলে অভিযোগ বাক্স স্থাপনের পরামর্শ হাইকোর্টের

স্কুলে অভিযোগ বাক্স স্থাপনের পরামর্শ হাইকোর্টের

শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালায় দেশের প্রতিটি স্কুলে এ সংক্রান্ত অভিযোগ শোনার জন্য অভিযোগ বাক্স স্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরামর্শে অভিযোগ বাক্স খোলার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকদের না দিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটিকে দেয়ার বিষয়ও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই)  বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পরামর্শ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। শুনানিতে সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগী অরিত্রীর অভিভাবকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক।

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বাশার) বলেন, আদালত শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে হতে যাওয়া জাতীয় নীতিমালায় প্রতিটি স্কুলে শিশুদের নির্যাতনের অভিযোগ শোনার জন্য একটি অভিযোগ বাক্স খোলার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছেন। শিশুরা তাদের নির্যাতনের অভিযোগগুলো মা-বাবা অথবা স্কুলের শিক্ষক, কারো কাছেই বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে স্কুলে একটি অভিযোগ বক্স থাকলে সেখানে শিশুরা অভিযোগগুলো নির্ভয়ে তুলে ধরতে পারবে।

এছাড়া আদালতে অরিত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় বুলিং নিরোধ কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে অরিত্রীর আত্মহত্যার প্রকাশিত খবর সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী নজরে আনার পর ২০১৮ সালের  ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।

ওই সময় আদালতের আদেশের পর ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে অতিরিক্ত শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে একটি ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত। এক মাসের মধ্যে এই কমিটিকে দুটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন দু’টির একটি হচ্ছে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে প্রতিবেদন, আরেকটি অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানের প্রতিবেদন।

আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুলও জারি করেন। অরিত্রীর আত্মহত্যার মতো ঘটনা প্রতিরোধের উপায় নির্ণয় করে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল বলেও জানান এই আইনজীবী।


এমএ/একেএস

আরও পড়ুন