• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৯, ১০:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৪, ২০১৯, ১০:১০ পিএম

গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষক পলাতক

গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষক পলাতক

গাইবান্ধা সদর উপজেলার রহমতপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কর্তৃক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ বর্মণ শরিফুলকে বরখাস্তের চিঠি প্রদান করেন।

ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির জনৈক ছাত্রীকে শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সরকার দীর্ঘদিন থেকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা ইউনুস আলী স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করলে বিষয়টি আমলে নেয় তারা। এ ছাড়া ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুলকে ৩ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু শরিফুল স্কুল কর্তৃপক্ষ হতে ৩ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ পেলেও তিনি চিঠির জবাব দেননি।

অন্যদিকে শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় শনিবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুলকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সরেজমিনে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রুমে কথা হয় ছাত্রীর অভিভাবক কারুজ মিয়ার সাথে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পিতৃতুল্য শিক্ষকের কাছেও শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। তাহলে আমরা কার কাছে সন্তানের নিরাপত্তা বোধ করব। তাহলে আমরা কার কাছে সন্তানকে পাঠাব?’

অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সরকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে শরিফুলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মতো গর্হিত অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু সাময়িক বরখাস্ত করায় জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। উত্তেজিত এলাকাবাসী শরিফুল ইসলাম সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ তাকে চূড়ান্ত বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ্র বর্মণ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শরিফুলের নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। তাই এমন নিন্দনীয় অপরাধ করতে পেরেছে। এটা ক্ষমার অযোগ্য। তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন