• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম

ওষুধের মেয়াদ নিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার পরামর্শ হাইকোর্টের

ওষুধের মেয়াদ নিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার পরামর্শ হাইকোর্টের
হাইকোর্ট

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পরামর্শ দেন। 

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ পরামর্শ দেন আদালত। রিটের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের প্রতিকারে একটি হটলাইন নম্বর চালু করা উচিত বলেও মন্তব্য করে আদালত। 

ওষুধের লেভেলের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্ট এবং সহজে যাতে বোঝা যায় সেভাবে লেখা থাকতে হবে বলেও মতামত দিয়েছেন আদালত। সচেতনতার জন্য ক্রেতাদের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখে কেনার পরামর্শ দিয়ে আদালত উৎপাদনকারীদের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদের তারিখ স্পষ্টাক্ষারে ও বাংলায় লিখতে বলেন।

আদালতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন।

এর আগে আদালতের আদেশ অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত ৩৬ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো.মাহবুবুর রহমানের দাখিল করা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

এর আগে গত ১৮ জুন সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার বা ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

গত ১০ মে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়।’ এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ১৭ জুন রিট করেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে এমন আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এমএ/বিএস