• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০১৯, ০৫:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২১, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম

মানবতাবিরোধী অপরাধ

গাইবান্ধার পাঁচজনের রায় যে কোনো দিন

গাইবান্ধার পাঁচজনের রায় যে কোনো দিন

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে যে কোনো দিন মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করে আদেশ দেয় আদালত। 

রোববার (২১ জুলাই) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়। আদালতে আজ প্রসিকিউটর ছিলেন- মোখলেসুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হাসান।

এ মামলায় মোট আসামি ছিল ৬ জন। তাদের মধ্যে মো. রঞ্জু মিয়া গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। পলাতক আসামিরা হলেন- রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২), মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮) ও মো. আজগর হোসেন খান (৬৬)। এদের মধ্যে আজগর হোসেন খান মারা যান।

তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আসামিদের মধ্যে মো. আবদুল জব্বার, মো. জাফিজার রহমান খোকা ও মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ১৯৭১ সালের আগে থেকেই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেপ্তার হলেও তাদের কোনো বিচার হয়নি।

খোকার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর ইব্রাহিমপুর। তিনি ১৯৭৫ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন। মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ ১৯৭৪ সালে কৃষি বিভাগে চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে অবসর নেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অভিযোগে বলা হয়েছে।


এমএ/টিএফ

আরও পড়ুন