• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৭:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৭:৫৬ পিএম

তিউনিশিয়া থেকে ফিরলো ৯ বাংলাদেশি

তিউনিশিয়া থেকে ফিরলো ৯ বাংলাদেশি

অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার সময় তিউনিশিয়ায় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হয়ে আইওএম এর মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন ৯ বাংলাদেশী।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে তারা বিমানবন্দর থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছেন বলে জানায় বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ইউনিট।

৯ জনের মধ্যে ৬ জনেরই বাড়ি হবিগঞ্জের। তারা হলেন- হৃদয় আহাম্মেদ (২০), আরমান মিয়া (২৪), আবদুল বারিক (২৪), মোতাব্বির হোসেন (২২), ইলিয়াছ উদ্দিন (৩১) ও তাহির মিয়া (২৯)। অপর ৩ জন হলেন- সিলেটের সৈয়দ মোহাম্মদ আলী (১৯), শরীয়তপুরের রানা হাওলাদার (২০) ও মাদারীপুরের মিরাজ হোসেন (২১)।

সিলেট জেলার পোনাইচক গ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদ আলী জানান, একই গ্রামের দালাল এনামুল হক এনাম ইউরোপের স্বপ্ন দেখিয়ে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে টুরিস্ট ভিসা দিয়ে সড়কপথে কলকাতা নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিমানে দিল্লি, এরপর শ্রীলঙ্কা, সেখান থেকে কাতার, তুরস্ক হয়ে লিবিয়া যাই। লিবিয়া হয়ে সমুদ্রপথে ইতালি রওনা হন। ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবলে জেলেরা উদ্ধার করে তিউনিশিয়া পুলিশের কাছে ন্যস্ত করেন।

শরীয়তপুরের রানা হাওলাদার জানান, ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ২০১৮ সালে ভিজিট ভিসা দিয়ে সুদান নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১০ দিন থাকার পর আকাশপথে সৌদি ও জর্ডান হয়ে লিবিয়া যাই। একবছর লিবিয়াতে অবস্থানের পর দালালের মাধ্যমে সমুদ্রপথে ইতালির উদ্দেশে রওনা হই। ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে গেলে অন্যান্যদের সাথে আমাকেও উদ্ধার করে তিউনিশিয়া পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় জেলেরা।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন