• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০১৯, ০৮:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৯, ২০১৯, ০৮:২২ পিএম

অভিযোগপত্রে ওসির নাম না থাকায় পুনঃতদন্তের নির্দেশ

অভিযোগপত্রে ওসির নাম না থাকায় পুনঃতদন্তের নির্দেশ

একটি মামলার অভিযোগপত্রে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত না করায় ইয়াবা উদ্ধারের মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দু’জন পুলিশ সদস্যের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই ওসির নাম আসার পরেও অভিযোগপত্রে তার নাম না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ২ মাসের মধ্যে এই তদন্ত সম্পন্নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে

আদালত বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দিতে নাম আসার পরেও ওসিকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা মনে করি এই অভিযোগপত্র ডিফেকটিভ (ত্রুটিযুক্ত)। এ কারণে মামলাটি ফের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হলো। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৭মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার রুপালি আবাসিক এলাকা থেকে এএসআই আলম সরোয়ার্দি ও মাদকবহনকারী সাবিনা আক্তার রুনুকে ইয়াবা আর টাকাসহ গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. মাসুদ রানা। পরে সরোয়ার্দির বাসা থেকে মাদক উদ্ধারের পরদিনই বন্দর থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলার আসামি সরোয়ার্দি জবানবন্দিতে বলেন, ইয়াবাসহ আসামি আটকের পর ওসি কামরুল ইসলামকে ফোন করি। উনি আমাকে নিরাপদ স্থানে যেতে বলেন। আমার বাসা ঘাটের কাছেই হওয়ায় আমি আসামিসহ বাসায় চলে যাই। পরে ওসি আলামত (৪৯ হাজার পিস ইয়াবা) ও টাকা রেখে রুনুসহ দু’জনকে মোর্শেদ নামের একজনের কাছে দিতে বলেন। মোর্শেদ রুনুকে নিয়ে বাসার নিচে যাওয়ার পর ওসি আমাকে ফোন দিয়ে অপর আসামিকেও ছেড়ে দিতে বলেন। আসামি ছেড়ে দেয়ার আগে আমি আলামত ও টাকা রেখে দেই। ওই আলামত থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা এনে ওসির কথামত জনি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসি। রাতে ডিবি অভিযান চালিয়ে আমার বাসা থেকে আলামত হিসেবে রাখা ইয়াবা ও টাকা জব্দ করে।

আসামি কনস্টেবল মো. আসাদুজ্জামান জবানবন্দিতে বলেন, সরোয়ার্দির বাসায় গিয়ে রুনু ও আ. রহমানকে দেখতে পাই। মাদকগুলো থানায় না এনে বাসায় আনার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সরোয়ার্দি জানায়, ওসি কামরুল স্যার আসামিসহ মাদকগুলো বাসায় রাখতে বলেছে।

এ দুই আসামির জবানবন্দিতে ওসির নাম আসার পরেও তাকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিমউদ্দিন আল আজাদ। মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন কনস্টেবল আসাদুজ্জামান। তার জামিন প্রশ্নে জারিকৃত রুল শুনানিতে ওসিকে বাদ দেয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে।

আদালতে আসাদুজ্জামানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন।

এমএ / একেএস
    

আরও পড়ুন