অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও দুর্নীতি-অনাচারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি যে অভিযান চলছে তাতে গণমাধ্যম, টেলিভিশন টকশো ও অনলাইন ‘পত্রিকাতে’ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের ইমেজকে কালিমালিপ্ত করতে উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা চলছে বলে অভিযোগ দলটির পলিটব্যুরোর। তারা বলেন, মেননের গায়ে কালি লাগাতে এ ধরনের প্রচারের আশ্রয় নেয়া হয়েছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ওয়ার্কার্স পার্টি পলিটব্যুরো পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘পার্টি গভীর ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, সম্প্রতি রাশেদ খান মেননের সংসদীয় এলাকার ফকিরাপুল ইয়াংমেনস ক্লাবের অফিস কক্ষ উদ্বোধনের ছবি ও ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে তার নাম থাকাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের অনভিপ্রেত প্রচারণা চালান হচ্ছে। এ ক্লাবের অভিযানে ক্যাসিনো পাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই ক্লাবের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার কথা অনেক সাংবাদিক তাকে টেলিফোনে প্রশ্ন করলে তিনি তাৎক্ষণিক জানান, ফকিরাপুল ক্লাবটি একটি ফুটবল ক্লাব এবং এখন থেকে তিন বছর আগে ক্লাবটির কমিটি পুনর্গঠিত হওয়ার সময় স্থানীয় সংসদ হিসাবে তাকে ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক হতে অনুরোধ করা হয় এবং তার নাম গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে নেয়া হয়। ওই সময় ক্লাবের সংস্কারকৃত অফিসের তিনি ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন। এর পরবর্তীকালে ক্লাব পরিচালনা অথবা উল্লেখিত গভর্নিং বডির কোনও সভা হয়েছে বলে তার জানা নাই। তিনি ওই একদিনই ক্লাবে গিয়েছিলেন। এর পরবর্তীকালে ক্লাবটি সম্পর্কে যেটুকু তিনি জানেন, চ্যাম্পিয়ন লীগে ক্লাবের ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং প্রিমিয়ার লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ওই ফুটবল ক্লাবে কখন কোনও সময় ক্যাসিনো বসানো হয়েছে এই সংবাদ তিনি জানতেন না অথবা ক্রীড়া সাংবাদিক এবং স্থানীয় জনগণ কেউ তাকে জানান নি। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও কিছু জানান হয় নি। এই অবস্থায় ওই ফুটবল ক্লাবকে ‘ক্যাসিনো ক্লাব’ আখ্যা দিয়ে তার চেয়ারম্যান মেনন এ ধরনের শিরোনামে সংবাদ পরিবেশন কতখানি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা আর কতখানি ‘হলুদ’ সাংবাদিকতা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত তা বুঝতে কারও বাকি থাকে না। তারই ধারাবাহিকতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টেলিভিশন টকশোতে একই মন্তব্যও প্রচার চলেছে।’’

আগামী নভেম্বরে ১০ম কংগ্রেস সামনে রেখে ২১ দফার পাঁচটি দফা ঠিক করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে- উন্নয়নকে জনগণে কাছে অর্থবহ করতে আরও ধন-বৈষম্য হ্রাস। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দুর্নীতিবাজদের বিচার ও তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা। মাদকাশক্তি ও মাদক ব্যবসা রোধ সামাজিক প্রতিরোধ। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, হত্যা বন্ধ করা ও সন্ত্রাস, হত্যা, গুম-অপহরণ, সাম্প্রদায়িকতা প্রচার, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও উস্কানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত করে ব্যাপক প্রচার অভিযান ও ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তোলা।

টিএস/এসএমএম