সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাইকোর্টকে অবহিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২৫১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাঠান। এর মধ্যে ১৭৯ জনের মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১১২ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুতে হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপরারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম হাইকোর্টের নির্দেশে জমা দেয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া সারাদেশে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি সংখ্যা ৯৭ হাজার ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৬ হাজার ১৭৬ রোগী। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্যে এমনটি জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, এখনো সরকারি ও বেসরকারি হাসাপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৬৬ রোগী। এর মধ্যে রাজধানীর ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩০৯ জন। এছাড়া অন্যান্য বিভাগে ভর্তি আছেন ৪৫৭ জন রোগী।

গত ৫ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৬ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৮৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১১৯ জন।

গত ৬ নভেম্বর দেশে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কতজন মারা গেছেন? তার সংখ্যাসহ বিস্তারিত জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সোমবার (১১ নভেম্বরের) মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এ তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়। এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেয়। এরপর মঙ্গলবার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতার দায় অনুসন্ধানে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব এ তদন্ত করবেন। তারা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, ত্রুটি এবং করণীয় সুপারিশ করবেন; যাতে চলতি বছরের মতো ডেঙ্গুর প্রকোপের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল করিম সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/টিএফ