বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় জমির মালিক সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান ইমাম ফারুকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে রাজউকের সাবেক পরিদর্শক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী ও সাবেক উপ-পরিচালক মো. শওকত হোসেনের জামিনও মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) তাদের পক্ষে করা আবেদন শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশে তাদের আত্মসমর্পণ করার জন্য হাইকোর্টের দেয়া আদেশও স্থগিত করেছে আদালত। এখন তাদের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
মো. খুরশীদ আলম খান জানান, এর আগে হাইকোর্ট তাদের জামিন দিয়ে বিচারিক আদালতের আদেশ স্থগিত করেছিলেন। আজ ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে তাদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ এই তিনজনকে জামিন দিয়েছেন।
এর আগে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর করা মমালায় এই তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। পরে ফারুক, নান্নু ও শওকত গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ঢাকার জজ আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু দুদকের আবেদনে হাইকোর্ট তাদের জামিন বাতিল করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার পর আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে এফআর টাওয়ার ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে টাওয়ারের মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন।
এ মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের ১৯ থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রি করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৭টি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে ২৭ জন মারা যান।
এমএ/টিএফ