• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ১০:৫০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ১০:৫৩ এএম

পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালককে হাইকোর্টে তলব

পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালককে হাইকোর্টে তলব

আদালত অবমাননার অভিযোগে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। হাসপাতালে সুস্থ অবস্থায় আটক ১৫ জনকে অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ‍উচ্চ আদালতের কমিটি করার নির্দেশনাকে অমান্য করায় এই তলব করা হয়। পাশাপাশি আগামী ২৮ নভেম্বর তাকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কমিটি না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি এফআর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানির নির্ধারিত দিনে এই আদেশ দেন।

আদালতে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মানসিক প্রতিবন্ধী ও অসুস্থদের চিকিৎসা দেয়া হয় পাবনা মানসিক হাসপাতালে। সেখানে সুস্থ হওয়ার পরও ১৫ বছর, ২০ বছর- এমনকি ২৫-৩০ বছর ধরে অবস্থান করছেন এমন ১৫ জন। তাদের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সেই প্রতিবেদন নিয়ে এক আইনজীবী হাইকোর্টে আসেন।

যেহেতু তারা বহুদিন ধরে সুস্থ অবস্থায় মানসিক হাসপাতালে আটক তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেয়া হোক বা প্রকৃত অভিভাবকের কাছে দেয়ার আর্জি জানিয়ে নির্দেশনা চান ওই আইনজীবী।

হাইকোর্ট গত ২ জুলাই আদেশ দিয়ে বলেছিলেন, হাসপাতালের পরিচালককে তিনি প্রধান হয়ে সেখানকার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপারসহ (এসপি) চার সদস্যের একটি কমিটি করতে। সেই কমিটি পাবনার মানসিক হাসপাতালে আটক ১৫ রোগীর পরিবার বা অভিভাবককে খুঁজে বের করে তাদের হস্তান্তর করতে। যদি ওই সব রোগীর কোনো সদস্যের পরিবার বা প্রকৃত অভিভাবক খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে যেন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা বা কোনো এনজিওর কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

কিন্তু আদেশের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও হাসপাতালের পরিচালক হাইকোর্টের ওই আদেশ প্রতিপালন না করে গড়িমসি করছেন। এমনকি কোনো কমিটিই গঠন করা হয়নি বলে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জেনেছি। তাই আদালত ২৮ নভেম্বর তাকে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য তলব করেছেন।

সেখানে ভর্তি থাকা মানসিক রোগীরা অভিযোগ করেন তারা সুস্থ। তাদের দাবি, আমরা মানসিক রোগী না, সম্পূর্ণ সুস্থ। আমাদের এখানে আটকে রাখা হয়েছে।

এমএ/একেএস

আরও পড়ুন