• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম

প্রসবে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার : সিকি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণে রিট

প্রসবে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার : সিকি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণে রিট

সন্তান প্রসবে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার করার অভিযোগে সিকি কোটি (২৫ লাখ) টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই রিট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রিটে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বেআইনি ও অবহেলার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার গোরারবাগ গ্রামের জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন এই রিট করেন।

স্বাস্থ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাপরিদর্শক (আইজি), ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালের পরিচালক, সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, ডিউটি ডাক্তার ও অপারেশন থিয়েটারে কর্তব্যরত সহকারীসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।

এ বিষয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনগত নোটিশ পাঠানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে রিট করা হয়।

মো. জে আর খান রবিন জানান, জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপা গত ৮ জুন সন্তান প্রসাবের বেদনায় নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, রোগীর সিজার বাধ্যতামূলক। পরদিন ৯ জুন চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। যদিও আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রসূতির জটিলতা ছিল না, এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও ছিল না।

গত ১২ জুন প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর প্রসূতির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে ১৪ জুন আবার একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়।

চিকিৎসকরা সেলাইতে ক্ষতের বিষয়টি স্বীকার করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং প্রসূতির বাবার অনুরোধে অন্য হাসপাতালের দুজন চিকিৎসককে নিয়ে আসেন।

ওই চিকিৎসকরা প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন সিজারকারী ডাক্তার আয়েশা মজুমদার।

গত ২০ জুন বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পর দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। বিআরবি হাসপাতালে সুস্থ হন প্রসূতি। এ হাসপাতালের চিকিৎকরা সুপারিশে বলেন, তার প্রথম অস্ত্রোপচার দরকার ছিল না।

সবমিলিয়ে প্রসূতির চিকিৎসায় তার পরিবারের ব্যয় হয় ৫ লাখ টাকা। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকাসহ মোট ২৫ লাখ টাকা ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইতি আক্তারের নিকট দাবি করে রিট করা হয়।

এমএ/টিএফ