হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি রাকিবুল হাসান রিগানের মাথায় ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর প্রতীক খচিত টুপি কিভাবে পৌঁছেছে, তার সন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
রিগানকে টুপি সরবরাহে কারাগারের কেউ জড়িত ছিল কি- না, সেটিও সন্ধান করবে কমিটি।
পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফা কামাল পাশা।
তিনি একাধিক গণমাধ্যমকে বলেন, এক আসামির মাথায় বিশেষ ধরনের কালো টুপি দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত ছবি। কিভাবে সে এই টুপি পেলো, কারাগার থেকে সে টুপি সংগ্রহ করেছে কি না— এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজি প্রিজন) কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন।
কামাল পাশা জানান, আসামিকে টুপি সরবরাহে কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানতে সারাদেশেই কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচার মজিবুর রহমান। রায়ে আট আসামির মধ্যে সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়। এসময় আসামিদের সবাই এজলাসে হাজির ছিল।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামিদের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের করা হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। কার্যক্রম শুরু হলে দুপুর ১২টার দিকে তাদের আদালতের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের যখন কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য এজলাস থেকে বের করা হয়, তখন দেখা যায়, মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি রাকিবুল হাসান রিগানের মাথায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এর প্রতীক খচিত কালো একটি টুপি। তা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
ছবি ● কাশেম হারুন
এসএমএম