• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০১৯, ১২:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১, ২০১৯, ১২:৫৮ পিএম

‘আমার ছেলে নির্দোষ বলার আগে এলাকায় মুখ দেখাইতে পারি নাই’

‘আমার ছেলে নির্দোষ বলার আগে এলাকায় মুখ দেখাইতে পারি নাই’


হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় বড় সন্তান জাকির হোসেনের মৃত্যুর শোকে আজও দিশেহারা মা মাকসুদা বেগম।  ডায়াবেটিকস ও হৃদপিণ্ডে গুরুতর সমস্যা নিয়েই সন্তানের স্মরণে সোমবার (১জুলাই) সকালে চলে আসেন সেই হলি আর্টিসান আঙ্গিনায়।  

নিহতদের স্মরণের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে রেস্তোরাঁর সামনে বসানো টেবিলে কিছু ফুল দেন তিনি। এ সময় তার আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। 

ছেলের ছবি হাতে নিয়ে চিৎকার করতে করতে মাকসুদা বলছিলেন, আমার নির্দোষ ছেলেটারে পুলিশে গুলি কইরা মারসে। আমার ছেলে বলে জঙ্গি ছিল। এক বছর পরে পুলিশ কইলো, আমার ছেলে নির্দোষ।  কিন্তু এই যে আমার ছেলেটারে যে পুলিশ গুলি করল, মারল- এইটার কী হইব?

বিলাপ করতে করতে মাকসুদা বলেন, বললেই হইলো, আমার ছেলে নির্দোষ? এই নির্দোষ বলার আগ পর্যন্ত আমি, আমার পরিবার এলাকায় মুখ দেখাইতে পারি নাই। 

হলি আর্টিসান বেকারিতে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে যোগদানের দেড় বছরের প্রান্তে ওই ঘটনার কবলে পড়েন জাকির হোসেন। বাবা-মা-ভাই-বোনসহ তিনি থাকতেন নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে। 

সংসারের প্রধান উপার্জনকারী ছিল জাকির। তার বাবা সাত্তার এক সময় রিকশা চালাতেন।  পুত্রশোকে তিনি এখন পাথর ও অসুস্থ বলে জাগরণকে জানান মাকসুদা।  জাকিরের ছোট এক ভাই হলি আর্টিসান বেকারির একজন মালিকের বাসায় কাজ করেন, আরেক ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী।  আছে দুই বোনও।  

জাকিরের মায়ের অভিযোগ- সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কোনো খোঁজ-খবর নেয়া হয় না এবং আজ পর্যন্ত কোনো সহযোগিতাও দেয়নি। তবে হলি আর্টিসানের মালিক প্রতি মাসে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নিয়মিত। 

তবে এতেও হচ্ছে না ছয় সদস্যের এই পরিবারের। ঘরভাড়া, খাবার খরচ, ওষুধ খরচ ও সাংসারিক অন্য খরচ মেটাতে পরিবারটিকে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে দাবি মাকসুদার। 

আরএম/আরআই

আরও পড়ুন