• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ০৩:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ০৩:৪৩ পিএম

ধর্ষণ প্রতিরোধে কমিশন গঠনের নির্দেশ

ধর্ষণ প্রতিরোধে কমিশন গঠনের নির্দেশ

ধর্ষণ প্রতিরোধে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ  রুলসহ এই আদেশ দেন।

রিটসংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতিনিধি, সুপরিচিত মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী, গণমাধ্যমের কর্মীদের একজন করে প্রতিনিধি, আইনজীবী, বিচারক, সমাজের সচেতন নাগরিক, সমাজের বিশিষ্টজন, চিকিৎসক প্রতিনিধিদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে এই কমিটি করতে বলা হয়েছে।

কমিটিকে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি সুপারিশমালা তৈরি করে আদালতে প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাবেয়া ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি ১৬ বছরের নিচে কেউ ভিকটিম হলে সেক্ষেত্রে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রণয়ন করতে সরকারর নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় কারো মৃত্যু ঘটলে সেক্ষেত্রে আইনে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবনের সাজার যে বিধান রয়েছে সে যাবজ্জীবন সাজা উঠিয়ে দিতে সরকারের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

এছাড়া ধর্ষণের ভিকটিমদের জন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইন কেন প্রণয়ন করা হবে না, ধর্ষকদের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য কেন ডিএনএ ডাটাবেজ করা হবে না, প্রতিটি জেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ভিকটিমতেদর সুরক্ষায় কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, ভিকটিমদের ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে কেন সতর্কতা অবলম্বন করা হবে না, সব ধরণের ধর্ষণের অপরাধের জন্য কেন পৃথক একটি আদালত গঠন করা হবে না এবং সে আদালতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত সপ্তাহে ধর্ষণের জন্য পৃথক পৃথক নির্দেশনা চেয়ে এ রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া এ রিট দায়ের করেন।

এমএ/একেএস