• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০, ১০:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০, ১০:০০ পিএম

প্রাথমিকে ৭৫টি সহকারী শিক্ষকের পদ সংরক্ষণে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রাথমিকে ৭৫টি সহকারী শিক্ষকের পদ সংরক্ষণে হাইকোর্টের নির্দেশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ২০১৯ সালের নিয়োগ পরীক্ষার প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে ৬০ শতাংশ নারী কোটা পূরণ করে রিটকারী নারীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেয়া কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ এফ এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ার) এই আদেশ দেন।

আদেশে ৬০ শতাংশ কোটা পূরণে রিটকারী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটকারীদের জন্য ৭৫টি সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোলাসহ ১৯ জেলায় ৭৫ জন প্রার্থীর দায়ের করা এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

রিটের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করতে হবে, কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। ফলাফলে নারী প্রার্থীদের তুলনায় পুরুষ প্রার্থীদের বেশি নির্বাচিত করা হয়। যা বিধি লঙ্ঘন করে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থী হিসেবে লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত হওয়ার হকদার। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ জেলার ৭৫ জন প্রার্থী ৬০ শতাংশ নারী কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে উক্ত রিট দায়ের করেন।

রিটকারী নারী প্রার্থীরা হলেন- কলি তালুকদার, সুজি তালুকদার, জাকিয়া আকতার, ফারজানা, শাফলা রানী ঘোষ, তুবা রান, মানসুরা, মিনাক্ষি রানি দাস, আবেদা সুলতানা, খেয়া মনি তালুকদার, শেলী সরকার, লাকি সরকার সহ ১৯ জেলার সর্বমোট ৭৫ জন।

এমএ/ এফসি