• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২০, ০৬:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১২, ২০২০, ০৬:৪২ পিএম

সরকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। 

সরকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। 
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, করোনাভাইরাস আমাদেরকে কতদিনে ছেড়ে যাবে তা আমরা জানি না। যদি করোনাভাইরাসের প্রকোপ আরও বাড়ে তাহলে আমাদেরকে ভার্চুয়াল কোর্টের সাহায্য নিতেই হবে। কারণ বিচার ব্যবস্থার কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। স্বাধীন ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য জনগণের আশা পূরণ করতেই হবে।

রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে অধস্তন আদালতের আইনজীবীদের ‘ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন’শীর্ষক এক অনলাইন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে এবং জিআইজেড বাংলাদেশ এর কারিগরী সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। 

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে স্বাভাবিক আদালত স্বাভাবিকভাবেই চলবে। ভার্চুয়াল আদালত কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে বা বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। 
মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব ও দেশের সব বিভাগ কিন্তু ভার্চুয়ালের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ যদি ভার্চুয়ালের দিকে এগিয়ে না যায় তাহলে শুধু বিশ্বে নয় দেশেও পিছিয়ে থাকবে। আমরা সমালোচনার সম্মুখীন হবো। জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রাখতে চিন্তা করবে। সেসব ক্ষেত্র বিবেচনা করেই ভার্চুয়াল আদালত সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে সরকার। 
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার। করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে অনেক আদালত বন্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সেখানে একটি বিকল্প ব্যবস্থা করে আদালত চালাতে পেরেছে। এই আদালত পূর্ণাঙ্গভাবে চালাতে গেলে আইনজীবীদের আবশ্যিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ ছাড়া, ভৌত অবকাঠামো গড়া ছাড়া ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে চালু করা সম্ভব নয়। বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশনের জন্য সরকার প্রায় দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভার্চুয়াল আদালতে জামিন শুনানি চলছে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি গত সপ্তাহে স্বাভাবিক আদালতে স্যারেন্ডারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং অন্যান্য আরও কিছু জিনিস তিনি স্বাভাবিক আদালতে চালু করার কথা বলেছেন। সেগুলো চালু হবে।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ মো. শফিউল আজম, নরসিংদীর জেলা জজ মোস্তাক আহমেদ, জিআইজেড বাংলাদেশ এর ‘রুল অভ ল’প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি যথাক্রমে অ্যাডভোকেট মো. শফিউল আলম ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বক্তৃতা করেন। 

আরও পড়ুন