• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০৭:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০৭:০৬ পিএম

এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণ : ৫ দিনের রিমান্ডে রবিউল

এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণ : ৫ দিনের রিমান্ডে রবিউল

সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলে তরুণীকে ধর্ষণের মামলার আরেক আসামি রবিউল ইসলামকেও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩ টার দিকে সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি খোকন কুমার দত্ত। এ সময় রবিউলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

এর আগে সকালে মামলার প্রধান আসামী সাইফুর রহমান ও চতুর্থ আসামি অর্জুন লস্করকে আদালতে হাজির করা হলেও তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এখন পর্যন্ত আলোচিত এ মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া আটক বাকি তিনজন মাহমুদুর রহমান রনি, অজ্ঞাত রাজন ও আইনুলকে র‍্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এর আগে রোববার সকালে সাইফুরকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে পৃথক এক অভিযানে একই দিন সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকেও গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সাইফুর রহমান বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাই পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাহমিদ মিয়ার ছেলে আর অর্জুন জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম গ্রামের কানু লস্করের ছেলে।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি হবিগঞ্জ সদর থানার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আর রবিউল ইসলাম (২৫) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন বড়নগদীপুর (জাগদল) গ্রামের বাসিন্দা।

অন্যদিকে, রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৯। এ সময় রাজনকে সহযোগিতায় করায় আইনুল নামের আরেক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজন তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার অজ্ঞাত আসামি ছিল বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। অভিযুক্ত সবাই ছাত্রলীগ কর্মী।

এদিকে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই তরুণীর স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।

ইতোমধ্যে সাইফুর, অর্জুন, রবিউল, রনি ও রাজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে সহযোগিতা করায় আইনুল নামের আরও ১জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের হাকিম শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার তরুণী। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আর আদালত তরুণী জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এসকে/এসইউ