• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০১৯, ০৪:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১, ২০১৯, ০৬:২৩ পিএম

হাইকোর্টে জামিন নামঞ্জুর

ডিআইজি মিজানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ

ডিআইজি মিজানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ
মিজানুর রহমান - ফাইল ছবি

সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার (১ জুন) এই আদেশ দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় এই আদেশ দেন আদালত। 

এ সময় আদালতে উপস্থিত মিজানকে আদালত পুলিশের হাতে দিয়ে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন এবং কারাগারে পাঠাতে বলেন।

আদালতে মিজানের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। আর দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনের শুনানিতে বহিষ্কৃত ডিআইজি মিজানের কর্মকাণ্ডে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, তিনি প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে পুলিশ বিভাগের ইমেজ ধ্বংস করেছেন। যেটা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে কাম্য নয়। এরপর আদালত তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাতে শাহবাগ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

এর আগে দুদকের দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন চেয়ে গত ৩০ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বহিষ্কৃত ডিআইজি মিজানুর রহমান আবেদন জানান। তার পক্ষে আবেদনটি দাখিল করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান খান।

শাহবাগ থানায় ডিআইজি মিজান

ডিআইজি মিজানকে বিকাল ৫ টায় ৫২ মিনিটে পুলিশের সতর্ক পাহারায় হাইকোর্ট এলাকা থেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে নিম্ন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। তবে তাকে কখন কারাগারে পাঠানো হবে সে বিষয়ে শাহবাগ থানা কর্তৃপক্ষ কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

শাহবাগ থানায় গণমাধ্যমকর্মীদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকায় আনুষ্ঠানিক কোনও তথ্য বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এছাড়া গত ১৯ জুন আদালত এক আদেশে মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ২৪ জুন ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

এমএ/এফসি/এইচএম/একেএস/এসএমএম

আরও পড়ুন