• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০১৯, ১০:৩৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২, ২০১৯, ১০:৩৯ এএম

নতুন মোড়কে ফিরছে ‘আওয়ামী লীগ দমন আইন’!

নতুন মোড়কে ফিরছে ‘আওয়ামী লীগ দমন আইন’!

দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ ৫ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করতে জাতীয় সংসদে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল, ২০১৯’ উত্থাপন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বিলটি উত্থাপন করেন এবং পরে তা অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আইন ও আদালত সংশ্লিষ্টরা স্মৃতিচারণ করে বলছেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার যখন আইনটি পাস করে, তখন বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ এই আইনকে ‘আওয়ামী লীগ দমন আইন’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র সমালোচনা করে। পরে সরকারে আসার পর আওয়ামী লীগই কয়েক দফা আইনটির মেয়াদ বাড়ায়।

আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২-এর মেয়াদ গত এপ্রিলে শেষ হয়। তাই এর মেয়াদ আরো ৫ বছর বাড়াতে বিল আনা হয়েছে। প্রস্তাবনায় আইনটির বিষয়বস্তুতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

মোট ৬ দফায় এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এই আইনের মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়। গত ৯ এপ্রিল আইনটির মেয়াদ শেষ হয়।

২০০২ সালে আইনটি যখন করা হয়, তখন বলা ছিল, এটি দুই বছর কার্যকর থাকবে। পরবর্তী সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের আগে সংশোধনী আইন করে মেয়াদ বারবার বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল আরেকটি সংশোধনী আইনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২-এর মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৭ বছর। মানে ১০ এপ্রিল ২০০২ থেকে ৯ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত এই ১৭ বছর পূর্ণ হয়।

আইনজ্ঞরা ১৭ বছরে আইনটি চর্চার অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, এই আইন প্রথমে প্রণীত হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে। তখন আইনটি তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘায়েল করতে প্রায়ই এর অপব্যবহার করা হয়েছিল। পরে আবার বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা হারানোর পর তাদেরকেই আবার আওয়ামী লীগ নাকানি-চুবানি খাইয়েছিল এই আইন দিয়ে। গত ৯ এপ্রিলের পর মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় আইনটি এখন অবলুপ্ত। এখন এর মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন মোড়কে ফিরছে ‘আওয়ামী লীগ দমন আইন’।

এমএ/এফসি