পূর্ব ফ্রান্সের শহর স্ট্রাসবার্গে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ জন নিহত ও ১২ আহত হয়েছে। স্ট্রাসবার্গের সেন্ট্রাল স্কয়ার ক্লেবারের কাছাকাছি বড়দিনের এক বাজারের পাশে প্রায় ১০ মিনিট ধরে এই হামলা চলে। তখন বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার, রাত ১টা।
ফ্রান্স সরকার এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলছে। শহরজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শহরের সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্ট্রাসবার্গের বড়দিনের এই বাজারটি খুবই বিখ্যাত, বছরের এই সময়ে হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ কাস্টনার বলেন, পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী আহত হলেও সে পালিয়ে চলে যায়। এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ লড়াই করে।
আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৩ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কাস্টনার। তিনি বলেন, বন্দুকধারী যেন দেশত্যাগ করতে না পারে এজন্য সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। তাকে আটকের জন্য প্রায় সাড়ে ৩শ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। দেশের সব ক্রিসমাস মার্কেটে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে।
ঘটনা তদন্তে স্ট্রাসবার্গে যাচ্ছেন যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাস্টনার। হামলার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি।
পুলিশ জানায়, ২৯ বছর বয়সী সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর জন্ম স্ট্রাসবার্গে। নিরাপত্তা বাহিনীর তালিকায় সে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হুমকিদাতা হিসেবে ছিল। ডাকাতির অভিযোগে পুলিশ তাকে খুঁজছিল।
স্ট্রাসবার্গের কাছাকাছি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ভবন অবস্থিত, ঘটনার পর থেকে তা বন্ধ রাখা হয়। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনিও তাজানি টুইট করেছেন, তারা সন্ত্রাসী হামলায় ভীত হবেন না। তারা তাদের নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখো ঘটনার সময় প্যারিসে মন্ত্রিপরিষদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন। পরে তিনি টুইট করেন, স্ট্রাসবার্গের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারের সঙ্গে সমগ্র জাতির সংহতি রয়েছে।
স্ট্রাসবার্গের মেয়র রোল্যান্ড রিইস টুইট করেছেন, ক্রিসমাস মার্কেটটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। স্ট্রাসবার্গ শহরে আজ বুধবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। শোক বইয়ে নাগরিকেরা তাদের সমবেদনা জানাতে পারবেন।
সাইসে/এফসি