• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯, ০৫:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯, ০৫:৫৬ পিএম

এডিস মশা নির্মূলে ডিএনসিসির ১০ম দিনের অভিযান

এডিস মশা নির্মূলে ডিএনসিসির ১০ম দিনের অভিযান
এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান ধ্বংস করে লার্ভিসাইড প্রয়োগ - ছবি : জাগরণ

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযানের ১০ম দিনে আজ ৩৬টি ওয়ার্ডে ১১ হাজার ১৮২টি বাড়ি ও স্থাপনায় মোট ৯০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এসব বাড়ি ও স্থাপনায় ‘এ বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়’ লেখা স্টিকার লাগানো হয়েছে। এছাড়া ৬ হাজার ৫৬২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান/জমে থাকা পানি পাওয়ায় তা ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা ‘চিরুনি অভিযান’ সক্রিয়ভাবে তত্ত্বাবধান করেন। 

২৫ আগস্ট থেকে ১০ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৬ হাজার ৯৮২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১ হাজার ৮৯৩টিতে এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৫৮ হাজার ১৫টিতে এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান বা জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। সেসব স্থান ধ্বংস করে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়। চিরুনি অভিযানকালে মাটির পাত্র, ফুলের টব, পানির ট্যাংকের নিচ, ড্রাম, চিপসের প্যাকেট, পরিত্যক্ত পানির হাউজ, কলসি, পরিত্যক্ত বেসিন, কমোড ও টয়লেটের ফ্লাশ, বালতি, টায়ার, খাবারের প্লাস্টিক-প্যাকেট, লিফটের নিচ, নির্মাণাধীন ভবন, ডোবা, পলিথিন, ডাবের খোসা, নিচু জায়গা, ছোট পাত্র, নারিকেলের মালা, পানির ড্রাম, মাটির হাড়ি, প্লাস্টিকের পাত্র, বাড়ির ছাদ, দুই বাড়ির মধ্যবর্তী স্থান, ওয়াসার মিটার, গ্যারেজ ইত্যাদি জায়গায় এডিস মশার লার্ভা এবং এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

মিরপুরে আজ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ২টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেলে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এডিস মশা নির্মূলে বছরব্যাপী ডিএনসিসির কর্মসূচি ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে। 

টিএইচ/ এফসি

আরও পড়ুন