• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০১:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০১:৪৭ পিএম

নুসরাত হত্যা মামলার রায়

ওসি মোয়াজ্জেমসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

ওসি মোয়াজ্জেমসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ
জাহাঙ্গীর আলম ও মোয়াজ্জেম হোসেন- ফাইল ছবি

ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া রায়ে চারজন পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় ১৬ আসামির অংশগ্রহণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হলো।

মামলার ৮০৮ পৃষ্ঠার রায়ে ফেনীর তৎকালীন পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

মামলায় পুলিশের অবহেলার অভিযোগে ১৩ মে ফেনীর তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম জাহাঙ্গীর আলমকে প্রত্যাহার করা হয়।

থানায় হেনস্তা হওয়ার নুসরাতের ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর ৮ মে সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেমসহ পুলিশের দুই এসআইকে বহিষ্কার করা হয় ৮ মে। এরপর তার নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। ১৬ জুন মোয়াজ্জেমকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ আনা হয়।

এগুলো হলো- মামলার কালক্ষেপণ, এজহার নিয়ে কূটচাল, গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের নাম বাদ, নুসরাতকে থানায় জবানবন্দির নামে ওসির হেনস্তা, আইনি বহির্ভূত জিজ্ঞাসাবাদ, প্রথমে অজ্ঞাত মামলার পরে ৮ জনের নামোল্লেখ।

প্রসঙ্গত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করেন।

এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে রাফির পরিবারকে হুমকি দেয়া হয়।

টিএফ
 

আরও পড়ুন