শোক

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান আর নেই।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

তিনি কিছুদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।  

আবদুল মান্নান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।

আবদুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনায় মরহুম আবদুল মান্নানের বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। 

শোক জানিয়েছেন জাতীয় সংসদরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও জাতীয় সংসদের বিরোধিদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকে এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল মান্নান।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল মান্নান।

দুই বারের সংসদ সদস্য বর্ষীয়ান এই নেতা ১৯৫৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার হিন্দুকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। একাদশ সংসদের কৃষি মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।

সোমবার গ্রামের বাড়িতে দাফন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান,  আবদুল মান্নানের মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারের রাখা হয়েছে। 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাযা নামাজ শেষে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারযোগে বগুড়ার সোনাতলায় নিয়ে যাওয়া হবে আবদুল মান্নানের মরদেহ। সেখানে আরেক দফা জানাযা শেষে গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে ক্ষণজন্মা এই রাজনীতিবিদকে।

এএইচএস/এসএমএম