• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২০, ০৯:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৪, ২০২০, ০৯:৪৭ পিএম

সংকট কেটে গেলে বেশি ব্যবসা পাবে বাংলাদেশ : বাণিজ্যমন্ত্রী

সংকট কেটে গেলে বেশি ব্যবসা পাবে বাংলাদেশ : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ● সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে চীনসহ কয়েকটি দেশ থেকে বিনিয়োগ স্থানান্তরের ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে সরকার।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, অনেক বিনিয়োগ এখন বাংলাদেশে আসতে পারে। এ পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটির সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পেশ করা হবে। বিদেশি বিনিয়োগ টানতে প্রতিযোগী বিভিন্ন দেশ এ মুহূর্তে কোন ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে এবং উদ্যোক্তাদের কি কি সুবিধা দিচ্ছে সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) পোশাক শ্রমিকদের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় বিশ্বমানের একটি ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

করোনায় পোশাক খাতের রফতানি আদেশ বাতিল এবং ফেরত আসা সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। উদ্যোক্তারাও ক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন। এই মুহূর্তে আসলে ধৈর্য্য ধরতে হবে। কারণ ক্রেতারাও পোশাক নিয়ে সমস্যায় আছেন। তবে ধৈর্য্য ধরে সংকট কাটিয়ে ওঠা গেলে বেশি ব্যবসা পাবে বাংলাদেশ।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজিএমইএ। পোশাক শ্রমিকদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য এই ল্যাব স্থাপনে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ড. ফরিদা হক মেমোরিয়াল জেনারেল হাসপাতালে ল্যাবটির মাধ্যমে প্রতিদিন ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। করোনা সন্দেহে থাকা শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে কারখানায় এসে। পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হলে আইসোলেশনে রেখে শ্রমিকদের চিকিৎসা দেয়া হবে। চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে চট্রগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকায় এ ধরনের আরও ল্যাব স্থাপন করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। একই সঙ্গে জীবিকাকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে। মাস্ক পরার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করা এবং সময় মতো চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, চীনে থাকা বিনিয়োগ বাংলাদেশে স্থানান্তরে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। করোনায় অন্য সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মত বিনিয়োগ কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে। তবে আবারও এসব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যবসা সহজ করার কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, বাতিল হওয়া রফতানি আদেশের ২৬ শতাংশ ফেরত এসেছে। এতে কারখানাগুলোর উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৫৫ শতাংশ কাজ চলছে। ফলে বাধ্য হয়ে জুন-জুলাই থেকে শ্রমিক ছাঁটাইয়ে যেতে হবে। এটাই বাস্তবতা। কারণ ৫৫ শতাংশ সক্ষমতা দিয়ে শতভাগ শ্রমশক্তি চালানো যায়না। তবে সরকার এপ্রিল, মে এবং জুন- এই তিন মাসের বেতন পরিশোধে ঋণ সহায়তা দিয়েছে। এ কারণে এই সময়ে কোনও কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই হলে বিজিএমইএ ওই কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এ পর্যন্ত ২৬৪ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সামাজিক দূরত্বের চেয়ে নিরাপদ দূরত্ব রক্ষা করা বেশি জরুরি। আক্রান্ত শ্রমিকদের চিকিৎসা এবং পরিবারের খোঁজ-খবর রাখার জন্য কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বিজিএমইএর ল্যাবে পোশাক শ্রমিকদের পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষের পরীক্ষা করানোর সুযোগ রাখতে হবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী, শ্রম সচিব কে এম আবদুস সালাম, বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিটিএমএর সাবেক সভাপতি এ মতিন চৌধুরী, ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ .কে. আজাদ খান প্রমুখ।

এসএমএম

আরও পড়ুন