সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের দুই ভাতিজির কাছে তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের গুলশান ২-এর ৯৫ নম্বর সড়কের বাসায় আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের প্রবেশ নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত একইসঙ্গে মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষে ৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা আকারে নথি জমা দিতে বলেছেন। পাশাপাশি ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
এর আগে সকালে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানত, দুই বোন মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশশেরা মোস্তফা এবং তাদের সৎমা অঞ্জু কাপুর আদালতে উপস্থিত হন। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুই বোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অঞ্জু কাপুরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা।
আইনজীবীরা জানান, মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষে ৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা আকারে নথি জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে গুলশানের ওই বাড়িতে বিনা বাধায় আত্মীয়-স্বজন প্রবেশ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে বাড়িটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর মালিকানা নিয়ে বিরোধে তার দুই মেয়ে অবস্থান নেন বাড়ির সামনে। ওই দুই বোনের দাবি, বাড়ির দখল বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না।
গত ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুলের মৃত্যু হয়। মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ পেশায় পাইলট ছিলেন। ভাইবোনদের মধ্যে শুধু সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই। দুই দিন ধরে বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
মুশফিকা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ১৯৮৪ সালে তার মাকে নিয়ে বাবা গুলশানের এই বাসাতেই সংসার শুরু করেছিলেন। তাদের জন্ম এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। পরে আঞ্জু কাপুর নামে এক ভারতীয়কে তাদের বাবা বিয়ে করেন। তিনি একাই এখন এই বাড়ির ভোগদখল করছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাগরণ/এমআর