• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২০, ০১:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৫, ২০২০, ০১:৪২ পিএম

ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে সুপারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 

ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে সুপারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 

বাগেরহাটের শরণখোলায় পঞ্চম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দারকে (৪৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় বাদী পক্ষে ১৫ জন এবং আসামি পক্ষে দুইজন মিলিয়ে মোট ১৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন বিচারক। এই ধর্ষণ মামলায় ইলিয়াছ জোমাদ্দার একাই আসামি। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সুপার এবং একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আব্দুল গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) রনজিৎ কুমার মন্ডল  বলেন, ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট সকাল ৭টায় মাদ্রাসায় সুপারের কাছে আরবি শিক্ষতে গেলে মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে  ইলিয়াছ জোমাদ্দার। অসুস্থ হয়ে পড়া মেয়েটিকে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে।এই ঘটনার এগারো দিন পর ১৯ আগস্ট মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

এই মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) তদন্তভার দেয়া হলে পিবিআই এর উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইয়েদ তদন্তে নামেন। তিনি তদন্তে নেমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানো মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দারকে ঘটনার প্রায় দুই মাস পরে ওই বছরের ১৭ অক্টোবর জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফাতারের পর ইলিয়াছ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে তিন দিন পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইয়েদ তদন্ত শেষে ধর্ষণের সত্যতা পেয়ে ১৩ নভেম্বর মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াছের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন।

জাগরণ/এমআর