শান্তিপূর্ণভাবে সোমবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রথমধাপে ২৪ পৌরসভার নির্বাচন। কয়েকটি যায়গায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা থাকলেও বড় কোনো সংঘর্ষ বা অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন শেষে ইসি সচিব মোহাম্মদ আলমগীরও সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, নির্বাচন ‘সাকসেসফুল’ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন আজকের নির্বাচনে করোনার মধ্যেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

২৪ পৌরসভায়ই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে খুলনার চালনা পৌরসভায় একজন প্রার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় মেয়র পদের ভোটের ফল স্থগিত করা হয়। বাকি ২৩ পৌরসভায় ছিল আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয় জয়কার।

এক নজরে দেখে নেয়া যাক মেয়র পদে কারা জয়ী হয়েছেন—

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের যারা জয়ী হয়েছেন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভায় বদিউল আলম, মানিকগঞ্জ পৌরসভায় মো. রমজান আলী, নেত্রকোনার মদনে সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার খোকশায় তরিকুল ইসলাম তারিক, বরগুনার বেতাগীতে এ বি এম গোলাম কবির, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, পাবনার চাটমোহরে সাখাওয়াত হোসেন সাখো, রাজশাহীর কাটাখালীতে আব্বাস আলী, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এস এম ইকবাল হোসেন সুমন, চুয়াডাঙ্গায় জাহাঙ্গীর আলম মালিক, কুড়িগ্রামে মো. কাজিউল ইসলাম, বরিশালের উজিরপুরে মো. গিয়াস উদ্দিন ব্যাপারী ও বাকেরগঞ্জে মো. লোকমান হোসেন ডাকুয়া, পঞ্চগড়ে জাকিয়া খাতুন, ঢাকার ধামরাইয়ে গোলাম কবির, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মনির আক্তার খান তরু লোদী, রংপুরের বদরগঞ্জে আহসানুল হক চৌধুরী ও সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বিশ্বজিৎ রায়।

মেয়র পদে স্বতন্ত্র যারা জয়ী হয়েছেন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভায় মো. আনোয়ার হাওলাদার ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মো. ইকবাল হক। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভায় মাহমুদ আলম লিটন নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে মাহমুদ আলম বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী। আনোয়ার হাওলাদার ও ইকবাল হক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

মেয়র পদে বিএনপির যারা জয়ী হয়েছেন
রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় মো. আল মামুন ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ফরিদ আহমেদ অলি।