• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২১, ০৯:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৪, ২০২১, ১০:৪২ এএম

গাঁজার গন্ধে ভারী আদালত প্রাঙ্গণের বাতাস

গাঁজার গন্ধে ভারী আদালত প্রাঙ্গণের বাতাস

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত (সিএমএম) প্রাঙ্গণের বাতাস প্রায়ই গাঁজার গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে। রাজধানীর ৫০ টি থানায় দায়েরকৃত মামলার আলামত হিসাবে জব্দ করা বিপুল পরিমাণ গাঁজা যেদিন সিএমএম আদালত চত্বরে (হাজতখানার ভেতরে) পোড়ানো হয়, সেদিন ধোয়ায় ছেয়ে যায় চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও আদালতের আশপাশে অবস্থিত আইনজীবীদের চেম্বারসহ আবাসিক ভবন।  এতে সেখানে অবস্থানরত মানুষ, পেশাজীবী ও স্থানীয়রা অস্বস্ত্বিতে পড়েন। অনেকে অসুস্থও বোধ করেন। স্থানীয়রা জানায়, একবার গাঁজা পোড়ানো শুরু হলে, তা শেষ হতে অনেক সময় লাগে।

তাছাড়া ওই এলাকায় অনেক ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত অবস্থান করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন মাদকাসক্ত জানান, তার কাছে গাঁজার গন্ধ ও ধোয়া ভালো লাগে। যখন গাঁজা পোড়ানো হয় তখন তার কাছে মনে হয়, যেন পুরো এলাকাটি গন্ধে বুঁদ হয়ে আছে।

ওই এলাকায় এমনও দেখা গেছে, ফেনসিডিল হিসাবে জব্দ করা আলামত ধ্বংসের পর মাদকসেবীরা কৌশলে সেখানকার নর্দমা থেকে স্পঞ্জ দিয়ে তরল ফেনসিডিল উঠিয়ে পান করেছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, খোদ গত বছর ডিসেম্বরের ২ তারিখ ৬৭ কেজি গাঁজা, ৯ তারিখ ৬৫ কেজি গাঁজা, ২১ তারিখ ৫৬ কেজি গাঁজা, ২২ তারিখ ৫৫ কেজি গাঁজা, ২৩ তারিখ ২২২ কেজি গাঁজা, ২৮ তারিখ ৪৯ কেজি গাঁজা, ২৯ তারিখ ৫২ কেজি গাঁজা সিএমএম আদালতের দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) আবারো পোড়ানো হয় বিপুল পরিমাণ গাঁজা।

আইনজীবী রিফাত আহমেদ জানান, আদালত প্রাঙ্গণ হচ্ছে পবিত্র জায়গা। এখানে মানুষের বিচার কাজ চলে। অসংখ্য বিচারপ্রার্থী প্রতিনিয়ত আদালতে আসেন। যেদিন গাঁজা পোড়ানো হয়, সেদিন সেটির ধোয়া ও গন্ধে আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, বিচারক, পুলিশসহ অন্যান্য পেশার লোকজনের নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তাই জব্দ করা গাঁজা না পুড়িয়ে পাশের বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অথবা কোনো নিরাপদ ফাঁকা জায়গায় ডাম্পিং স্টেশন বানিয়ে ধ্বংস করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন বলেন, “এভাবে মাদক ধ্বংসের ফলে আদালত চত্ত্বরের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিশেষ করে যেদিন গাঁজা পোড়ানো হয়, সেদিন সেটির ধোয়ায় বাতাসে ছেয়ে যায়। এতে আদালতে আসা লোকজন কেউই উৎকট গন্ধ থেকে রেহাই পান না।”
বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই তারা সিএমএম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।