মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। সহযোগী এনামুল হক আরমানের সহায়তায় আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন। 

আসামিদের বিদেশ গমনের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুইবার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেছেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করন।

এ অভিযোগে গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।