জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম কাদের) থাকা কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। জাতীয় পার্টির এক সদস্যের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই রুল দেয় আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক।

পরে নুর উস সাদিক সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের নিয়োগটা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশন ও জিএম কাদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবীরা জানান, জাপার গঠনতন্ত্র অনুসারে দলের কোনো পদে আসতে হলে তাকে কাউন্সিলের মাধ্যমে আসতে হবে। কিন্তু জিএম কাদেরের ক্ষেত্রে তা হয়নি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েও কোনো উত্তর না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রিটকারী।

২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার ছোট ভাই ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন। পরে চলতি বছরের ২১ মার্চ রাতে আকস্মিকভাবে কাদেরকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ। এরপর ৪ এপ্রিল আবার কো-চেয়ারম্যান পদে ফিরিয়ে আনেন। এর মাঝে ৫ মে তাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন এরশাদ।

পরে চলতি বছরের ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান এরশাদ। তার মৃত্যুর পর ১৮ জুলাই রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের নাম ঘোষণা করেন। প্রথমে ওই ঘোষণার বিরোধিতা করলেও পরে এরশাদপত্নী রওশন ও জিএম কাদেরের মধ্যে সমঝোতা হয়।

৮ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানিয়েছিলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন জিএম কাদের। অন্যদিকে সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে দায়িত্বে থাকবেন রওশন এরশাদ।

এমএ/টিএফ