• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৩:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৩:৩৩ পিএম

টাঙ্গাইলে ১২১৪ মণ্ডপে দুর্গা পূজা 

রং তুলির আচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমা

রং তুলির আচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমা

দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয দুর্গোৎসব। আগামী ৪ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পূজা শুরু হবে। দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। একই সঙ্গে চলছে মণ্ডপ সাজসজ্জার কাজ। 
এবার টাঙ্গাইল জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১২১৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মণ্ডপে মণ্ডপে কারিগরদের রং তুলির আচড়ে। ৮ অক্টোবর দশমীর মধ্যে দিয়ে এ পূজা শেষ হবে। প্রতিটি মণ্ডপে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যাক সদস্য মোতায়েত থাকবে।

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, শেষ মুহুর্তে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। প্রতিমার গায়ে রং তুলির আচড় এবং অলংকরণ করে ফুটিয়ে তুলছেন দেবীর সৌন্দর্য। যেন জীবন্ত রূপে ফুটে উঠছে প্রতিমাগুলো। অনেকেই দেবী দুর্গার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। প্রতিমা দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন মণ্ডপগুলোতে।
 
প্রতিমা তৈরির কারিগর সনাতন পাল বলেন, ‘এবার আমি ১২টি প্রতিমা তৈরি করেছি। এতে খরচ বাদে আমার প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হবে।’ 

কালিহাতীর গেন্দা পাল বলেন, ‘প্রতিমা তৈরি আমাদের পৈত্রিক ব্যবসা। তাই এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আমরা কাজ করছি। তবে আগের তুলনায় মজুরী কম।’
 
টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, জেলার ১২টি উপজেলায় এবার এক হাজার ২১৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সদর উপজেলায় ২০৯টি, ধনবাড়ী উপজেলায় ২৯টি, মধুপুর উপজেলায় ৫২টি, ভূঞাপুর উপজেলায় ৩৮টি, গোপালপুর উপজেলায় ৫১টি, ঘাটাইল উপজেলায় ৭৮টি, কালিহাতী উপজেলায় ১৮০টি, দেলদুয়ার উপজেলায় ১২৪টি, নাগরপুর উপজেলায় ১২৫টি, মির্জাপুর উপজেলায় ২৩৩টি, বাসাইল উপজেলায় ৫১টি, সখীপুর উপজেলায় ৪৪টি পূজা মণ্ডবে পারিবারিক ও সার্বজনীন দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এবার দেবী ঘটকে আগমন আর গমন করবেন ঘটকেই। বড়কালীবাড়ী, আদালতপাড়া, করটিয়া, মির্জাপুর, পাথরাইল, এলেঙ্গা জেলায় উল্লেখযোগ্য পূজা মণ্ডপ। 

টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় বড় কালীবাড়ী মন্দির কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, আমাদের প্রস্তৃতি প্রায় সম্পন্ন। চলছে শেষ মুহুর্তের কাজ। মণ্ডপে পুলিশ ও আনসার সদস্যের পাশাপাশি আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরাও সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালন করবেন। আশা রাখি দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।  তিনি আরো বলেন, পূজার ২-১ দিন আগে সরকারি অনুদান মণ্ডপে মণ্ডপে পৌঁছে যাবে।
 
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশের সদস্যরা নিরলস দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা বিশেষ ডিউটিতে থাকবেন। পূজা উপলক্ষে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে।  

কেএসটি

আরও পড়ুন