• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২, ২০১৯, ০৪:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২, ২০১৯, ০৪:৪৩ পিএম

অরক্ষিত স্লুইচ ও বেড়িবাঁধ 

জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে কক্সবাজার উপকূল 

জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে কক্সবাজার উপকূল 

 

ঘড়িতে সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগও ক্রমশ বাড়ছে। সমুদ্রের পানি আরও ফুলে ফেঁপে উঠছে। ‘মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ আছড়ে পড়ার জন্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে। গত ৪৩ বছরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় যা বাংলাদেশের আয়তনের চেয়ে বড়। এতে বাতাসের সাথে উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাই বেশি থাকছে। 

এ কারণে কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ ও স্লুইচগেইটগুলো অরক্ষিত থাকায় চরম ঝুঁকিতে নিচু এলাকার মানুষ। তারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজার উপকূলের সাধারণ মানুষ জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। খোলা অবস্থায় রয়েছে ৪শ’টি স্লুইচগেইট। পাশাপাশি অধিকাংশ এলাকার বিভিন্ন অংশে বেড়িবাঁধ ভাঙা। 

সূত্র মতে, উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ গুলোতে প্রায় ৪শ’টি স্লুইট গেইট রয়েছে। লবণ ও চিংড়ি ঘেরে পানি ঢুকানোর কারণে এসব স্লুইচগেইট খোলা রাখা হয়েছে। একইভাবে বেড়িবাঁধ কেটেও পানি ঢুকানো হচ্ছে। 

কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় চরম ঝুঁকিতে নিচু এলাকার মানুষ- ছবি: জাগরণ

এ প্রসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভায় কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিনিধির কাছে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জানতে চাইলে এর জবাবে ওই কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দেন, স্লুইচগেইট খোলা ও বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকলেও এই মুহূর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের করার কিছুই নেই! 

কারণ হিসেবে তিনি জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে তা সম্ভব নয়! ধেয়ে আসা জলোচ্ছ্বাসের এই বিষয়টি অত্যন্ত ভীতিকর হলেও তা নিয়ে তেমন গুরুত্ব দেননি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক।

স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাভাবিকের চেয়ে এক মিটার পানি বাড়লেই খোলা স্লুইচগেইট ও ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জলোচ্ছ্বাসের পানি অনায়সেই লোকালয় তলিয়ে যাবে। তবে আবহাওয়া অধিফতর জানিয়েছেন, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫/৬ মিটার পানি বাড়তে পারে।

টিএফ