• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০১৯, ০৯:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২১, ২০১৯, ০৯:৩৩ পিএম

মুন্সীগঞ্জে দাফনের ১০ মাস পর লাশ উত্তোলন

মুন্সীগঞ্জে দাফনের ১০ মাস পর লাশ উত্তোলন
সিপাহীপাড়া কবরস্থান থেকে রুবেলের লাশের দেহাবশেষ তোলা হচ্ছে  -  ছবি : জাগরণ

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের সিপাহীপাড়া কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১০ মাস ৬ দিন পর মো. রুবেল নামের এক যুবকের মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে নিহতের মায়ের উপস্থিতিতে রোববার (২১ জুলাই) দুপুরে লাশের দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার সিপাহীপাড়া এলাকার মৃত হুমায়ন তালুকদারের ছেলে মো. রুবেলের বসতবাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। পরদিন সকালে স্ত্রীর পরামর্শে বাড়ির লোকজন সিপাহীপাড়া কবরস্থানে রুবেলকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে।

এ ঘটনায় সন্দেহ হলে নিহতের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে চলমান মামলায় পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী ফাহিমা, শাশুড়ি শ্যামলী ও শ্যালক এমরানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা জেলাহাজতে রয়েছেন। পরে দাফনকৃত লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার বাদী রহিমা বেগম জানান, ‘ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না, আমার ছেলেকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে রুবেল আমাকে কল দিয়ে তাকে বিষ খাওয়ানোর কথা জানিয়েছিল। পরদিন আমি বাড়িতে আসার আগেই ছেলের বউ ও বাড়ির লোকজন মিলে রুবেলকে দাফন করে। ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে আমি আদালতে ঘুরছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

বিষয়টি জানতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরামুল হাসান বলেন, আদালতের নির্দেশ লাশ উত্তোলনের। তাই লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লাশটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এনআই

আরও পড়ুন