মানিকগঞ্জের প্রধান নদী পদ্মা-যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শিবালয় উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা-পদ্মা তীরবর্তী শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর উপজেলার স্পর্শকাতর ২৭টি পয়েন্টে চিহ্নিত করেছে। তবে ভাঙনরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি ভাঙনরোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে করণীয় প্রস্তাব উদ্বোধন মহলে প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ ও প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, পদ্মা-যমুনায় সৃষ্ট তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ের কারণ স্পর্শকাতর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি-লঞ্চ, কার্গো-নৌকা ইত্যাদি চলাচল দারুণ ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, দ্রুত পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী স্থান ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে কাচামরিচ, ভুট্টা, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের প্রভূত ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। অনেক পুকুরে আবাদকৃত মাছ বেড়িয়ে গেছে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী লুৎফর রহমান জানান, যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে ৮ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার স্তরে প্রবাহিত হচ্ছে।
কেএসটি