• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০১৯, ০১:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০১৯, ০১:১৫ পিএম

দুর্ভোগের অপর নাম জান্না-র‌্যাইল্লা সড়ক

দুর্ভোগের অপর নাম জান্না-র‌্যাইল্লা সড়ক

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার গোলড়া সড়কের বাইপাস জান্না ও র‌্যাইল্লা সড়কের চার কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং ওঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ আট বছর ধরে সংস্কার না করায় এ সড়কের বেহাল দশা হয়। ফলে ২৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ চরম জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার স্থানীয় ভ্যান ও সিএনজি চালকরা সেচ্ছাশ্রম দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে কোন মতে চলাচলের যোগ্য করে চলাচল করছে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্র জানায়, আট বছর আগে ওই সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাধারণ মানুষ ও ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয় এ সড়ক। সড়কের ফিটনেস অনুযায়ী অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই গরুর ট্রাক ও মালবাহী ট্রাক চলাচল করায় ওই সড়কের বেহাল দশা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, হরগজ গরু হাট ও জান্না বাজারে ধান ভূট্টার হাট বসে সপ্তাহে দুদিন। গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়ক দিয়ে রোববার হরগজ গুরুর হাটে আসা যাওয়া করে গরু বোঝাই ট্রাক। সোমবার জান্না হাটে বিক্রি হয়ে থাকে ধান ভূট্টা।

এছাড়া জান্না বাজারে রয়েছে ভূট্টা রাখার শোধানগার (গোডাউন)। প্রতিদিনই এ গোডাউন থেকে অতিরিক্ত পণ্য বহন করা হচ্ছে ট্রাক যোগে। ফলে ওই সড়কের গরু বোঝাই ট্রাক ও ধান ভূট্টা বোঝাই ট্রাক চলাচল করায় এ সড়কে হাজারো স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ওই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে মানুষ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে।

এদিকে, স্থানীয় ভ্যান ও সিএনজি চালকরা সেচ্ছাশ্রমে সড়কে ছোট বড় গর্ত ভরাট করে চলাচলের যোগ্য করে তুললেও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের চোখে পরেনি ওই সড়কের বেহাল দশা।

সিঙ্গাপুর প্রবাসী আব্দুল সালাম জানান, জান্না বাজারে ঢোকার পথে বিশাল আকৃতির গর্ত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে গর্ত পানিতে ভরে দুর্ঘটনা ঘটে এখানে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া প্রায় তিন শতাধিক সিএনজি। রোববার সীড কোম্পানির এস আরের গাড়ি ওই গর্তে পরে ১৬ লাখ টাকার চেক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গর্তে পড়ে যায়।

এতে তার ওই চেকসহ সকল নথিপত্র কাঁদা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় ১ বছর ধরে এ অবস্থার সৃষ্টি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বাররা গর্তগুলো ভরাট করার কোন উদ্দ্যোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ফুকুরহাটি ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজ উদ্দিন জানান, ওই সড়কটি সংস্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ জাহিদ মালেক স্বপনকে অবগত করা হয়েছে তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সড়কটি সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী এফ,এম তৈয়াবুর রহমান জানান, গ্রামের ভিতর দিয়ে যেসব পাঁকা সড়ক নির্মাণ করা হয় তা ছোট যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য। সেই সড়ক দিয়ে যদি পণ্য বোঝাই ট্রাক চলাচল করলে সড়কের দুপাশ নিচে ডেবে যায়। সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কের মধ্যে ফাটল ধরলে আস্তে আস্তে ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরো বলেন, উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাগুলো বসত বাড়ির চেয়ে নিচু হওয়ায় বাড়ির ঢলে আরো বেশি ক্ষতি হয় সড়কের। তবে ওই সড়ক দ্রুত সময়ে সংস্কার করার জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।

কেএসটি

আরও পড়ুন