• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০১৯, ০৭:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০১৯, ০৭:১৩ পিএম

বরিশালসহ চার জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ৮৪

বরিশালসহ চার জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ৮৪

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ পর্যন্ত ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন এই হাসপাতালে। যার মধ্যে ৩০ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী।

এছাড়া বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলায় ১০ জন করে মোট ৩০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানাগেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, গত ১৬ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই দুপুর পর্যন্ত এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়া ৫৪ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তারা। যার মধ্যে ২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি।

তাছাড়া রোববার পর্যন্ত (২৮ জুলাই) ২৫ জন ডেঙ্গু জ্বরের রোগী ছিল। তাদের মধ্যে ৬ জন সোমবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। আর নতুন ভর্তি হয় আরো ১১ জন। সে অনুযায়ী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৩০ জন।

পরিচালক বলেন, আক্রান্ত রোগীদের সাথে আমরা কথা বলেছি। এরা কেউ বরিশালে বসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত যারা চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে কেউ ঢাকায় বসবাস করেন অথবা ঢাকায় আসা যাওয়া করেছেন।

তিনি জানান, শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় কোন ত্রুটি হচ্ছে না। মেডিসিন বিভাগের আওতায় তাদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদানসহ ওয়ার্ডের মধ্যে রোগীদের সার্বক্ষণিক মশারির মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ৫শ বেডের এই হাসপাতালটি বর্তমানে কাগজে কলমে ১ হাজার বেডে উন্নিত করা হয়েছে। তবে প্রতিদিন দেড় হাজারের মত রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। অতিরিক্ত রোগীদের বেড দিতে না পারায় তাদের ওয়ার্ডের মধ্যে বা বারান্দার মেঝেতে জায়গা দিতে হচ্ছে। এ কারণেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না।

অপরদিকে, বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে শুধুমাত্র পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ৩ জেলার মধ্যে বরগুনা সদর হাসপাতালে ১০ জন ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন ও ভোলায় ১০ জন চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।

কেএসটি

আরও পড়ুন