• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম

দুধ নিয়ে বেকায়দায় চাটমোহরের ৩২৮ খামারি

দুধ নিয়ে বেকায়দায় চাটমোহরের ৩২৮ খামারি

বিভিন্ন কোম্পানির ডেইরি চিলিং সেন্টার দুধ কেনা বন্ধ করে দেয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন পাবনার চাটমোহরের ৩২৮ জন খামারি। অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে দুধের দাম। ফলে হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনছেন ভুক্তভোগীরা।

গেল রোববার (২৯ জুলাই) পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় ও বাজারজাতকরণের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এর পর থেকেই দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে প্রাণ, আড়ং, এসিআই ও আকিজ কোম্পানির স্থানীয় ডেইরি চিলিং সেন্টার।

গত দুই দিন ধরে স্থানীয় বাজারে দুধ বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা লিটার দরে। অথচ দুই দিন আগে দুধের বাজারদর ছিল ৫০ টাকা লিটার। যদিও ডেইরি চিলিং সেন্টারের কাছে ৩৫-৩৭ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করতেন খামারিরা। বর্তমান দুধের বাজারদরে খামারিদের লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খোদ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

চাটমোহর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫৫ হাজার লিটার দুধ কিনত বিভিন্ন কোম্পানির ডেইরি চিলিং সেন্টার। কিন্তু এসব সেন্টার দুধ কেনা বন্ধ করে দেয়ায় স্থানীয় বাজারে দুধের আমদানি হচ্ছে চাহিদার অনেক বেশি। উপজেলায় খামারি রয়েছেন ৩২৮ জন।

চাটমোহরের পৈলানপুর গ্রামের বাসিন্দা ও খামারি মামুন জানান, তিনি সপ্তাহে ৪২০ লিটার দুধ বিক্রি করতেন চিলিং সেন্টারে। কিন্তু এখন এ দুধ নিয়ে পড়েছেন মহাবিপদে। তার হিসাবে, ১ লিটার দুধ উৎপাদন খরচ পড়ে ৩১ টাকার উপরে। এখন সেই দুধ ১১ টাকা লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ২০ টাকায়। ৪২০ লিটার দুধে তাকে লোকসান গুনতে হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।

‘একটা বিহিত সরকার না করলে আমার মতো খামারিদের পথে দাঁড়াতে হবে। মাটি হয়ে যাবে ঈদের আনন্দ। কারণ, দুধের টাকায় আমার সংসার চলে।’ জানান তিনি।

চাটমোহর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ, এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।’ তিনি বলেন, সবারই উচিত খামারিদের সঙ্গে থাকা। দুধের দাম কমে যাওয়ায় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এনআই

আরও পড়ুন