• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৮:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৮:০৪ পিএম

মিরপুরে কোটি টাকা না পেয়ে হোটেল মালিক খুন

মিরপুরে কোটি টাকা না পেয়ে হোটেল মালিক খুন

রাজধানীর মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনীর সদস্যরা হোটেল মালিক জোনায়েদকে হত্যা করেছে। পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, জুনায়েদের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল শাহাদাত বাহিনী। কিন্তু সেই টাকা না দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় তাকে।

রাজধানীর দারুস সালামে শাহজালাল আবাসিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম জুনায়েত (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি শুটার সবুজ। গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড শুটার সবুজ ওরফে সজীব (২২)। জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ পুলিশকে জুনায়েদ হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।  

পিবিআই কর্মকর্তা জানান, শাহজালাল নামে আবাসিক একটি হোটেলের মালিক ছিলেন জুনায়েদ। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১২টার দিকে হোটেল থেকে বাসায় ফিরছিলেন। কিন্তু রাতে আর বাসায় ফেরা হয়নি তার। পরদিন সকালে অপরিচিত ব্যক্তির মাধ্যম পরিবার জানতে পারে, পাইকপাড়া সরকারি স্টাফ কোয়াটার জামে মসজিদের সামনে জুনায়েদের মরদেহ পড়ে আছে।

তারই ছোট ভাই ডা. সাঈদ হোসেন সোহাগ (৩২) ভাই জোনায়েদের লাশ শনাক্ত করেন। জুনায়েতের বুকের বাম পাশে গুলির চিহ্ন দেখা যায়। পাশে গুলির খোসাও দেখা যায়। একটি রক্ত মাখা ইউসিবি ব্যাংকের ৩ লাখ ৬ হাজার টাকার চেকের তিন টুকরা অংশ পাওয়া যায়। পুলিশ মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এঘটনায় সোহাগ বাদী হয়ে 
অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন (মামলা নং-৬)। এরআগে এ হত্যা মামলায় দারুস সালাম থানা পুলিশ কর্তৃক মামলাটি তদন্তকরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি সোহেল ওরফে শুটার সোহেল (৩৫) ও বাবু ওরফে মির্জাকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেন।

এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলার তদন্ত এবং আব্দুর রহিম ও আনোয়ার হোসেন পলাশকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি তদন্ত শেষে ৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ডিবি। 

অপরদিকে, ডিবি পুলিশ প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার না করেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করায় বাদী আদালতে নারাজি আবেদন করেন। আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই গতকাল রাতে মূল আসামি সবুজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে শুটার সবুজ পিবিআইকে জানায়, জুনায়েদকে হত্যা করার কয়েক বছর আগে থেকেই শাহাদাত গ্রুপের শুটার সবুজসহ তার সহযোগী- সোহেল, বাবু ওরফে মির্জা, আব্দুর রহিম ও আনোয়ার হোসেন পলাশ হোটেল থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল। শাহাদাত গ্রুপের রফিকুল ইসলাম জুনায়েদের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে ইন্ডিয়ান মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে আসে। চাঁদা না দেয়ায় জুনায়েদের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। চাঁদার টাকা না পাওয়ায় জুনায়েতের ওপর ক্ষুব্ধ হয় শাহাদাত বাহিনী। সে কারণেই পরিকল্পিতভাবে জুনায়েদকে হত্যা করা হয় বলে পিবিআই কর্মকর্তা জানান। 

এইচ এম/টিএফ

আরও পড়ুন