• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৯, ০৩:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৩, ২০১৯, ০৩:৫৮ পিএম

কলেজছাত্রের মুখ থেঁতলানো লাশ উদ্ধার

কলেজছাত্রের মুখ থেঁতলানো লাশ উদ্ধার

বগুড়ায় সাব্বির রহমান শাওন (২০) নামের এক কলেজছাত্রের মুখ থেঁতলানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া সুফিপাড়ার হাবিবুর রহমানের তিন ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় সাব্বির রহমান শাওন এ বছর বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। রোববার (১১ আগস্ট) বিকালে ঈদের জুতা কিনতে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় বাবা হাবিবুর রহমান যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পান।

প্রতিবেশী ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিঠুকে ফোন দিলে তিনি জানান, শাওন তার সঙ্গে আছেন। তখন শাওন ওই ফোনে জানান, ১০ মিনিটের মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। রাত ১টা পেরিয়ে গেলেও শাওন না ফেরায় উদ্বিগ্ন বাবা-মা আবারও মিঠুকে ফোন দেন।

তখন মিঠু জানান, তিনি শাওনকে শহরের আলতাফ আলী মার্কেটে রেখে এসেছেন। এরপর মা সেলিনা আকতার ছোট ছেলে সাকিব উর রহমান ও মিঠুকে সঙ্গে নিয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে শাওনের খোঁজ করেন।

সদর থানা ও কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতেও তাকে পাওয়া যায়নি। সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পুলিশের গাড়িতে মুখ থেঁতলানো এক তরুণের লাশ দেখতে পান। তখন ছোট ভাই সাকিব স্যান্ডেল দেখে লাশটি তার ভাই শাওনের বলে শনাক্ত করেন।

পুলিশ তাদের জানায়, শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় তার ভাই মারা গেছেন।

নিহতের ছোট ভাই সাকিব জানান, শাওন শহরে জুতা কিনতে গিয়েছিল। নয়মাইল এলাকায় তার যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তার দাবি, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর এ হত্যাকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে লাশ মহাসড়কে ফেলে দেয়া দেয়। সেখানে যানবাহন তার ভাইকে পিষ্ট করে।

সাকিব আরও জানান, এ ব্যাপারে তারা থানায় হত্যা মামলা করবেন। মা সেলিনা আকতার একই মন্তব্য করে তার ছেলের খুনিদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

প্রতিবেশী চাচা আল-আমিন জানান, রোববার রাত ১২টার দিকে শাওনকে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিঠুর মোটরসাইকেলে দেখেছেন। তাদের সঙ্গে মুন্না নামের একজন ছিলেন।

শাজাহানপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ও সদর থানার ইউডি অফিসার এসআই সোলায়মান জানান, তারা প্রথমে এটাকে দুর্ঘটনা ভেবেছিলেন। কিন্তু শহর থেকে ৯-১০ মাইল দূরে মহাসড়কের পাশে লাশ পড়ে থাকায় সন্দেহ হচ্ছে। এ কারণে লাশের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না দুর্ঘটনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এনআই

আরও পড়ুন