• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম

পাবিপ্রবিতে অধ্যাপকের কক্ষে আলাদা কামরা নিয়ে বিতর্ক

পাবিপ্রবিতে অধ্যাপকের কক্ষে আলাদা কামরা নিয়ে বিতর্ক
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের খাট সরিয়ে নেয়া হচ্ছে  -  ছবি : জাগরণ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে আলাদা একটি কামরা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ওই কক্ষে একটি খাটের সন্ধান পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন ওই বিভাগের শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই কামরার খাটসহ আসবাবপত্র বের করে দেয়।

শিক্ষকদের দাবি, কয়েকটি গণমাধ্যমে এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে ওই কক্ষে যৌন হয়রানি করা হয় বলে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে। জামালপুরের ডিসির ঘটনার মতো এটাকে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

জানা গেছে, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের কক্ষে আলাদা একটি কামরায় খাট পেতে রাখার বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুরে জানাজানি হয়। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে গিয়ে ওই কামরা ও সেখানে খাটের সন্ধান পান শিক্ষার্থীরা। পরে এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের তোপের মুখে ওই কামরা থেকে খাটসহ আসবাবপত্র বের করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘নৈশ ও নিয়মিত কোর্সের ক্লাস নেয়ার জন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে হয়। পূর্বের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিশ্রাম কক্ষ তৈরি করেন। কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য নয়।

পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালায় বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে এ ধরনের খাট বিছানোর সুযোগ আছে কি না আমার জানা নেই। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কামরা থেকে খাটসহ আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’

এদিকে মঙ্গলবার বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও বুধবার কয়েকটি পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বুধবার দুপুরে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দেন ওই বিভাগের চেয়ারম্যান।

প্রতিবাদলিপিতে বিভাগের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দাবি করেন, যে কক্ষটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে ওই কক্ষটি বিভাগ কর্তৃক আলাদাভাবে নির্মিত নয়। সেখানে যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগ তুলে অতিরঞ্জিত করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা কুচক্রী মহলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংবাদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা শিক্ষক রাজনীতি ও বিশ্ববিদ্যালয়বিরোধী একটি চক্র জড়িত। সংবাদকর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান শিক্ষকরা।

এনআই

আরও পড়ুন