ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাবিনা ইয়াসমিন (১৮) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ রেখে পালিয়ে গেছে তার প্রেমিক। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও তার পরিবার জানায়, হালুয়াঘাট উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে ঢাকায় একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করত। অন্যদিকে ফুলপুর উপজেলার মাটিচাপুর গ্রামের বারেকের ছেলে কামরুল ইসলাম (২০) একই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করত। এ সুবাদে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সাবিনাকে মোবাইল ফোন করে বিয়ের কথা বলে মাটিচাপুর গ্রামে নিয়ে আসে কামরুল। পরে সেখান থেকে বিয়ে করার কথা বলে কামরুল ফুলপুরের ইমাদপুর গ্রামে তার খালার বাড়িতে নিয়ে আসে। মেয়েটি ইমাদপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফুলপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাবিনার বাবা লিয়াকত জানান, লাশ রেখে কামরুল ও তার পরিবার পালিয়ে গেছে। হাসপাতালে পরিচয় গোপন রেখে মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছিল। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলের মা ফিরোজা খাতুনকে (৫০) আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এনআই