• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯, ০৯:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯, ০৯:১১ এএম

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলেন সাবেক কনস্টেবল

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলেন সাবেক কনস্টেবল

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে আবুল কাশেম নামে সাবেক এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আবুল কাশেম উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামের মৃত শাহে আলমের ছেলে।

এ ঘটনায় সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত গৃহবধূ সালমা আক্তার নিজে বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় ওই কনস্টেবলসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চরপোড়াগাছা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন ও মো. ফয়েজ আহম্মদ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামের মৃত শাহে আলমের ছেলে ও পুলিশ সদস্য আবুল কাশেমের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে সালমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর কৌশলে সালমার কাছ থেকে কাশেম তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। সেই টাকা এখনো পরিশোধ করেননি তিনি।
এরপর হঠাৎ সালমার কাছে কাশেম পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু সালমা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং পাওনা টাকা ফেরত চায়। এরই জেরে গত ২৯ আগস্ট সালমাকে দা দিয়ে আসামিরা কুপিয়ে ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এতে পিঠ, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হন তিনি। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে কাশেম তাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়।

মামলার বাদী সালমা আক্তার বলেন, ‘যারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে, তাদের চুরির মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানা পুলিশকে প্রভাবিত করে আবুল কাশেম বেপরোয়া কাণ্ড চালাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহেনূর ইতোমধ্যেই মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তিনি মামলাটি তদন্তের জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতি আদালতের বিচারক কাজী সোনিয়া আক্তারকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৯ নভেম্বর ধার্য তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

কেএসটি

আরও পড়ুন