• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯, ১০:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯, ১০:১৬ এএম

যশোরে পুলিশ ও সোর্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

যশোরে পুলিশ ও সোর্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

যশোরের শার্শা গৌড়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল ও সোর্স কামরুলের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিত নারী দু’সন্তানের জননী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জেলার শার্শা উপজেলায়।

গৃহবধূ মঙ্গলবার জানান, আমার স্বামী আগে চোরাচালানিদের পণ্য বহন করতো। কিন্তু এখন কৃষি কাজ করে। গৌড়পাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ গত ২৫ অক্টোবর রাতে তার স্বামীকে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর ফাঁড়িতে নিয়ে তাকে বোতল ফেনসিডিল দিয়ে ২৬ অক্টোবর বিকালে কোর্টে চালান দেয়। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে এসআই খায়রুল, সোর্স কামারুল এবং গ্রামের লতিফ ও কাদেরসহ চারজনকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে ডাকাডাকি শুরু করে। আমি দরজা খুলতে না চাইলে তারা বলেন, স্বামীর মামলার ব্যাপারে কথা আছে। তখন আমি দরজা খুলি। দারোগা খায়রুল আমাকে বলে ৫০ হাজার টাকা দিলে আমার স্বামীর মামলা হালকা করে দেবে। সে সময় আমি বলি বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ফেনসিডিল দিয়ে চালান দিয়েছেন। এখন বলছেন টাকা দিলে হালকা হয়ে যাবে। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর ঘরের ভিতর নিয়ে খায়রুল ও কামরুল আমাকে ধর্ষণ করে চলে যায়। তারা চলে গেলে এ ঘটনা এলাকাবাসীকে জানালে তারা আমাকে মামলা করার পরামর্শ দেয়।

বিষয়টি নিয়ে গৌড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুল বলেন, নারীর বিষয়টি নিয়ে এসপি স্যার আমাকে অফিসে ডেকেছিলেন। 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আজাদুর রহমান জানান, ভিকটিম নারীর পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে রিজাল্ট পেতে আরো দু’দিন লাগবে। তারই পরেই বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, অভিযোগের পর পরই ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পরীক্ষার পরে প্রমাণ মিললে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

কেএসটি

আরও পড়ুন